উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-
১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের এক হোটেলে মৃত্যুবরণ করেন। ৭১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে জাতীয় ৩ নেতার মাজারে তাঁর সমাধি রয়েছে।
‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ জাতিকে সবসময় প্রেরণা যুগিয়ে আসছে।’
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন কাজ করেছেন।
উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। একজন প্রতিভাবান সংগঠক হিসেবে তাঁর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা।
১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সোহরাওয়ার্দী। তার বাবা প্রখ্যাত বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ১৯৪৭ এ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
এছাড়া ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি যুক্তফ্রন্ট গঠনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই নেতা সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ উপাধিতে ভুষিত হন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।